You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৭ আশ্বিন, ১৩৭৮ সোমবার ৪ অক্টবোর ১৯৭১

-বাংলাদেশ সরকাএর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান (জেনারেল) কর্নেল এম এ জি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সাম্প্রতিক শত্রুর ওপর বেশ কিছু সফল অভিযানের জন্য তারা মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান।

-ঢাকার বনানীস্থ নৌ বাহিনীর সদর দফতরের কাছে গলফ স্কোয়ারে গেরিলাদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন রাজাকার নিহত হয়।

-দিল্লীস্ত পাকিস্তান হাইকমিশনে বাঙালী কাউন্সেলর জনাব হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। দিল্লীস্থ বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকার মুজিবনগরের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তিনি দিল্লীতে ‘চীফ অব মিশন’ পদে নিয়োজিত হন। উল্লেখ্য জনাব চৌধুরী জুলাই মাস থেকে মুজিবনগরস্থ বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন। মুজিবনগর প্রতিনিধির সাথে দিল্লিতে গোপন আলোচনায় স্থির হয়, যথাসময়ে তিনি প্রকাশ্যে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করবেন। Mr Humayun Rashid Chowdhury, Councillor and Head of Chancery and his personal assistant Mr. Forbidding Ahmed defected from the Pakistan High Commission in New Delhi to the Bangladesh cause today. (সংবাদপত্র) The National Executive Committee of the British Labour Party indicates Pakistan for Bangladesh.

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির সেক্রেটারী অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্ত্তী বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের শরণার্থী শিক্ষকগণের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কাহিনী অবলম্বনে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি সংকলন সম্পাদনা করেছিলেন অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসাদুজ্জামান রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ’ ডঃ দুলাল চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল। এসব বাংলা পুস্তক-পুস্তিকা ছাড়াও ৫ খানা ইংরেজী পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের কাছে পাঠানো হয়।

টাঙ্গাইলের রাজাকার নেতা শান্তি কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল খালেক (কাগমারী কলেজের শিক্ষক) বিন্দু বাসিনী স্কুল মাঠে ঘোষণা করে যে, পাকিস্তানে একমাত্র মুসলমান থাকবে। এ রাষ্ট্রে মুসলমান ব্যতিত অন্য কোন জাতি থাকার অধিকার নেই। নিম্নবর্ণ হিন্দুরা থাকবে। আর যারা স্বেচ্ছায় মুসলমান হবে তারাই শুধু পাকিস্তানে থাকতে পারবে। তবে উদ্দেশ্য হাসিলেন জন্য কোন হিন্দু মুসলমান হলে তাকে কোরবানী দেওয়া হবে। (স্বাধীনতা ৭১ পৃঃ ১৬৬) উল্লেখ্য দক্ষিণ বাংলা ধর্মান্তকরণে নির্যাতনের পর টাঙ্গাইলের ভয়াবহ নির্যাতনে কয়েক হাজার পরিবারকে নিঃস্ব রিক্ত করা হয়। বহু হিন্দুকে হত্যা করে পাকসেনা ও দেশের ধর্মান্ধ রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যরা।

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!