You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১
• বীর শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯ বছর আগের মহান ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলা ভাষার স্বীকৃতিতে সীমিত নয়, বরং তা গণ অধিকার আদায়েরও সংগ্রাম ছিল। তিনি বলেন, শহীদের আত্মত্যাগ যাতে বিফল না হয় সে জন্য জনগণের শপথ নিতে হবে। তিনি আমাদের জীবনের সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাঙালিদের আর দমন করা যাবে না, এটাই ভাষা আন্দোলনের শিক্ষা।
• পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়াম্যান জেড. এ. ভুট্টো করাচীস্থ পার্টির স্থানীয় দফতরে দলীয় কর্মীদের এক সভায় ভাষণদানকালে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা আবার উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার জন্য তাঁর দল যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা অপরিবর্তনীয়। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা যখন বড় ভাই হিসেবে গ্রহণ করেছি তখন তাঁর ছোট ভাইদের বক্তব্য শোনা উচিত।
• নবাব বুগতি করাচিতে বলেন ভুট্টোর বর্তমান ভুমিকা দেশের দুই অঞ্চল কে বিভক্ত করিবে।জামাতের পশ্চিম পাকিস্তানের আমির আসাদ জিলানি ভবিষ্যৎ বানী করে বলেন ভুট্টো ঢাকা যাইবেন এবং ৬ দফা মানিয়া লইবেন।
• ওয়ালি ন্যাপ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিবে। পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি মজাফফর আহমেদ প্রদেশ গুলির বিচ্ছিন্নতার অধিকার সহ স্বায়ত্তশাসন দাবি করেন।
• পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ তাদের একুশে স্মরণে ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির চতুর্থ দিনে আজ ‘ ড. জোহা দিবস’ পালন করে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তান পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর মাথা ঠিক নাই। একের পর এক প্রস্তাব ভেটোর মাধ্যমে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তাতে কি আসে যায় ১৫ জন প্রতিনিধিকে পক্ষে রাখতে হবে। একা আগা শাহী আর কি করবেন। সাথে দেয়া হয়েছিল অনন্য সুন্দরী আতিয়া এনায়েতুল্লাহ কে।তিনি কোন ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা ছিলেন না। সেনাবাহিনীর সাথে ছিল ভাল সম্পর্ক। সিনিয়র বুশ থেকে শুরু করে সবাই কে কাত করেই রেখেছিলেন। বাকি ছিল সোভিয়েত মিত্র পোলিশ ও সোভিয়েত। ১৫ তারিখে উঠল পোলিশ প্রস্তাব একেবারেই পাকিস্তানের অনুকূলে। মেনে নিলেই বাংলাদেশ আর স্বাধীন হয় না। সেদিন আবার নিরাপত্তা পরিষদে তাকে দেখা যায়নি। কি মনে করে ভুট্টো পোলিশ প্রস্তাব না মেনে ছিঁড়ে ফেলে সোজা বাইরে চলে গেলেন আর আসলেন না। পোলিশ প্রস্তাবের মৃত্যু হল। তারপরের ইতিহাস ১৬ ডিসেম্বর। আতিয়া কিছুদিন আগে বাংলাদেশ এসেছিলেন । সামরিক শাসক জিয়াউল হকের সাথে তার অন্তরঙ্গ সম্পকের কথা শোনা যায়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!