You dont have javascript enabled! Please enable it!

একুশে ফেব্রুয়ারী প্রসঙ্গতঃ স্মৃতিচারণ | তরীকুল আলম | সাপ্তাহিক বিচিত্রা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ 

স্মৃতি – চারণে সত্য – ভাষণ অনিচ্ছাকৃত অপ্রচ্ছন্ন থাকা অপরিচ্ছন্ন মানসিকতার পরিচয় বহন করে না সত্য, কিন্তু সেখানে সত্য – বিকৃতি ঘটে। এতে ইতিহাস বিভ্রান্তির অবকাশ থাকে, এটাও অসত্য নয়। তবে ইচ্ছার বিকারে যদি স্মৃতিচারণকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাফল্য বলে বিবৃত করে সমসাময়িক অন্য ব্যক্তি ও বক্তব্যের গুরুত্বকে হ্রাস করার অপচেষ্টা হয়, সেটা যেমন অসত্য ভাষণ, তেমনই অসততা এবং একই সঙ্গে অমার্জনীয়। প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে স্মৃতিচারণিক ক্ষমার্হ হতে পারেন, কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে সেটি হবে সচেতন বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রান্তি ও অসততার অমার্জনীয় অপরাধ। স্মৃতিচারণ, বিশেষ করে ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ও আমাদের জাতীয় জীবনের বিশিষ্টতম বিমূর্ত ও বিভূষিত মহালগ্ন সম্পর্কে স্মৃতির বিস্মৃতি উন্মোচন কালে এ সত্যগুলিই বিশেষভাবে আমাকে দ্বিধায় ও সংশয়ে ফেলেছে।

দেখতে দেখতে ছাব্বিশ বছর অথচ স্মৃতিতে ভাস্বর এই তো সেদিনকার বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী, ভাবতেও এখনো শরীর মন রোমাঞ্চিত, শিহরিত, বিক্ষুব্ধ ও বিস্ময় বিমুগ্ধ হয়ে ওঠে। আজ যখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নতিন এনারজেন্সি বিভাগের কাছে এসে অসুস্থ, উদ্বেগ বা মানসিক বিপর্যয়ের বিপত্তি সত্ত্বেও ঐতিহাসিক আমতলার দিকে দৃষ্টি স্বাভাবিক ভাবে নিবদ্ধ হয়, তখনই নিমেষে আরো অনেক খন্ড খন্ড টুকরো ছবির পাশাপাশি বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারীর ছাত্র জনতা চঞ্চল, শ্লোগান সংগ্রাম মুখর, আশা ও প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত দিনটি ভাষ্বরিত হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র স্মৃতিকে আশ্রয় করে এ দিনের প্রতিটি ঘটনাবলী বিবৃত করা দুঃসাধ্য। কুশলী কথাশিল্পী বা ভাষ্যকারের পক্ষে যা দুরূহ, আমার কাছে তা আরো কষ্টকর। সে সময়কার কিছু দিনপঞ্জি ছিল। একাত্তরের হিংস্র শিকারে আমার প্রায় সব পুরান লেখার সঙ্গে এগুলিও লুণ্ঠিত হয়। তাই শুধু স্মৃতি আশ্রয়ী ঘটনার বিপরীতে নাম ধাম ঘটনা পরম্পরায় অসঙ্গতি ও অনৈক্য এসে পড়াটা অস্বাভাবিক নয় বলেই ক্ষমার্হ।

উনিশ’শ সাতচল্লিশের ১৪ ই আগস্ট থেকে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী – প্রায় সাড়ে চার বৎসরের মধ্যে আমার ঢাকায় অবস্থানের মেয়াদকাল হলো দেড় বছরের মতো। পঞ্চাশের মাঝামাঝি খুলনা থেকে ঢাকায় আসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতক পূর্ব ছাত্র হিসেবে। ছাত্রাবস্থার পাশাপাশি প্রথম স্কাউট পত্রিকার সম্পাদক, পরে আর একটি সাপ্তাহিক এবং একান্নর শেষ দিকে মিল্লাত পত্রিকা প্রকাশিত হলে বার্তা বিভাগের ‘সাব এডিটর ‘ হিসেবে কর্মরত থাকি৷ এই ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের অবতারণা এ কারণেই যে, ছাত্রাবস্থায় সম্পূর্ণতঃই নিজের ওপর আর্থিক নির্ভরশীলতার ফলে সমসাময়িক ছাত্র, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত থাকা সম্ভব হয় নি প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও। তবে এসব কিছুতেই অনুরাগ ও আগ্রহ থাকায় সব মহলের পুরোধা ও শীর্ষ স্থানীয়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর নেহায়েত ব্যক্তিগত সম্পর্কের দরুণ এ সময় এমন একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও পরবর্তীকালে আরো একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ি, যার ফলে ছাত্রজীবনে প্রতিক্রিয়াশীলদের দলভুক্ত বলেও পরিচিত হয়ে উঠি৷ কিন্তু এতদসত্ত্বেও তৎকালীন প্রগতিশীল মহলের পুরোধা ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে কিছুটা অন্য চোখে দেখতেন বলেই শামসুর রহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, আনিস চৌধুরী, মাহবুব জামাল জাহেদী, ফজলে লোহানী, আতাউল করিম প্রমুখদের সঙ্গে অন্য সম্পর্কে গ্রন্থিবদ্ধ হই। অন্য দিকে বন্ধুত্বের পর্যায়ভুক্ত যারা তাদের মধ্যে মোস্তফা কামাল, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমদ,বদরউদ্দীন উমর, ইব্রাহিম তাহা, মুস্তাফিজুর রহমান, সুফিয়া ইব্রাহিম (বর্তমানে ডঃ সুফিয়া আহমদ), জাহানারা আরজু প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। পরিচয়ের পরিসর ক্রম বিস্তৃত হওয়ার আশংকা সত্তেও বন্ধুত্ব ও সখ্যতার পর্যায়ে হাবিবুর রহমান, সৈয়দ মোহম্মদ পারভেজ, মোস্তাক আহমদ ( ‘পালঙ্ক খ্যাত) আতাউল হক – এর নাম উল্লেখ না করা অন্যায় হবে এ কারণেই, যে এদের সঙ্গে পাশাপাশি থেকে অনেক সময় কেটেছে।

যেহেতু পঞ্চাশের মাঝামাঝি ঢাকায় এসেছি এবং এখানকার ছাত্র সমাজের মধ্যে পরিচয়ের পরিসর সীমাবদ্ধ, সে জন্য প্রাথমিক প্রবেশিকা পর্যায়ে (নবম শ্রেণী পর্যন্ত) পশ্চিম বাংলায় এবং প্রবেশিকার শেষ শ্রেণী ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দু’ বছর মিলিয়ে খুলনায়ও ছিলাম প্রায় তিন বছর। এতে করে তৎকালীন পূর্ব বাংলার ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে মোটামুটি একটা জ্ঞানোদয় হলেও এখানকার ছাত্র আন্দোলনের গতি প্রকৃতি ও মুসলিম লীগ রাজনীতির জ্ঞান প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। তবে ভাষা আন্দোলনের ক্রম বিকাশ সম্পর্কে মৌলিক তথ্য লাভের অন্বেষায় কারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এই আন্দোলন সে ভাষার দাবী ছাড়াও অন্যান্য স্বাধিকারের দাবীকে রূপান্তর লাভ করবে, সেটা বুঝে ওঠাও দুরূহ হয়নি।

পরদিন অর্থাৎ ২২ শে ফেব্রুয়ারীর কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে স্মৃতিচারণের এই পর্ব শেষ করবো৷ খুব ভোরে এসে মিলিত হলাম সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে। আরো অনেক জায়গা থেকে বহু ছাত্র এসেছেন। এই হল তখন বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রাণ কেন্দ্র। এখন যে ‘টি ভি ও রেডিও কামরা, সেখানে মাইক লাগিয়ে বিরতি বিহীন ভাষণ ও মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় নির্দেশ জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রক্তাপ্লুত জামা কাপড় পুরোভাগে রেখে মিছিল বেরিয়েছে। এর মধ্যেই গতকালের ঘটনা ও আজকের কর্মসূচীসহ এ মুদ্রিত ইশতেহারে অগ্নি অক্ষরে সংগ্রামী একুশের ঘটনা বিবরণীর বিস্তারিত বিবরণী দেখলাম। এতো অল্প সময়ের মধ্যে সকল তথ্যের সম্ভারে সমৃদ্ধ করে এবং ভাষার ঔজ্জ্বল্যে প্রতিটি শব্দ স্থির রেখাংকনে এঁকে ইশতেহারটি এমন মর্মস্পর্শী ছিল যে, বিস্মিত ও অভিভূত হয়েছিলাম। এ ধরণের লেখা ফজলে লোহানীর বলে আমার মনে হয়েছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পরে এর প্রতিবেদনকারী ও সম্পাদকের খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে তখন কয়েকশ ছাত্রবন্দী আটক, এ খবর শুনলাম। তাদেরকে খাবার পাঠাতে হবে। হল – বাবুর্চিখানায় রান্নার আয়োজন শেষ। কিন্তু খাবার পাঠানো যায় কি করে। পূর্বদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে ঢাকা নগরী যানবাহনশুন্য, ছাত্ররা বিভিন্ন নির্দেশে এখানে ওখানে যাচ্ছে। ঠিক মনে নেই, আমাকে বলা হলো ডায়েনফার ট্যাক্সী স্ট্যান্ড থেকে একটি ট্যাক্সী বা ট্রাক যাই পাওয়া যাক, সংগ্রহ করে আনতে হবে। কে বলেছিলেন সে কথা স্মরণ নেই। তবে একটা দায়িত্বভার পেয়েছি, বেরিয়ে পড়লাম পদব্রজে। সঙ্গে আমার বড়ভাই জহুরুল আলম। সমস্ত এলাকা জুড়ে থমথমে ভাব। পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর জীপ ও ট্রাক পথে চোখে পড়লো। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু ছাত্রের জটলা। মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও এই একই অবস্থা। পরিষদ ভবন (বর্তমান জগন্নাথ হল) ঘিরে পুলিশ বেস্টনী। কোনক্রমে ডায়ানফার সামনে (বর্তমান গুলিস্তান হলের সম্মুখ ভাগ) পৌছে দেখি ট্যাক্সী বা ট্রাক দূরে থাক, কোন যানবাহনই নেই। একটি অস্টিন গাড়ীতে করে এক সৌম্য কান্তি বৃদ্ধলোক নিজেই গাড়ীর চালক। কি কারণে তার গাড়িটা আসতেই দৌড়ে গেলাম। সবিনয়ে অনুরোধ জানালাম যে তার গাড়ীটা পেলে আমরা মুসলিম হল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছাত্রদের খাবার সরবরাহ করতে পারি। প্রথমে বুঝতে পারিনি৷ গাড়ির আরোহী ছিলেন আহমদ ইস্পাহানী। তিনি ব্যক্তিগত নানা অজুহাত দেখিয়ে অস্বীকার করলেন। বললেন, এখুনি তাকে ফিরে যেতে হবে। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসছি। এখনকার এক্সরে ক্লিনিকের সামনে আসছি। দূর থেকে এক দল ছাত্র বলে উঠলেনঃ কার্জন হলের মোড়ে আবার গুলীবর্ষণ হয়েছে। আমরা তৎকালীন বিমান রিক্রুট কেন্দ্রের সামনে রাখা ইটের পাঁজার আড়ালে গিয়ে বসলাম। কয়েক মিনিট পরে একটি সশস্ত্র বাহিনীর ট্রাক থেকে গুলীবর্ষণ করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড় ঘুরে ডায়েনফার দিকে চলে গেল। ওখানে বসে থাকা অবস্থায় আবার গুলীর আওয়াজ, কয়েকবার শ্লোগান শুনলাম। কিছু পরে আবার ফিরে এলাম মুসলিম হলে। এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কারাগারে খাবার পাঠানো হয়েছে শুনে স্বস্তি পেলাম। খবর পেলাম, নবাবপুরে পুলিশ ছাত্র জনতার উপর গুলী করেছে, মর্নিং নিউজ পত্রিকায় বাংলা ভাষা বিরোধী সংবাদ প্রকাশে ক্ষুব্ধ ছাত্র – জনতা পত্রিকাটির জনসন রোডস্থ অফিসে অগ্নি সংযোগ করেছে। আজাদ অফিসেও অনুরূপ অবস্থা। কিন্তু মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁন স্বয়ং ছাত্রদের দাবীতে সমর্থন জানাবেন, জানালেন এবং সম্পাদকীয় পাতায় কঠোর ভাষায় গুলীবর্ষণের নিন্দা প্রকাশিত হয়েছে, এটা জেনে ছাত্র জনতা শান্ত হয়।

মুসলিম হল তখন কর্ম ও প্রাণ উদ্দীপনায় প্রদীপ্ত। মাইকে বলিষ্ঠ কন্ঠের ঘোষণা ও নির্দেশ। হল মিলনায়তনে সেক্রেটারিয়েট স্থাপন করে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে পরবর্তীতে কে থাকবে, এভাবে ক্রমিক তালিকা নির্ধারণ, পরবর্তী কর্মপন্থা স্থির সব কিছুতেই এক অবাক শৃঙ্খলার চিহ্ন সুস্পষ্ট। মুসলিম হলে পুলিশ ঢুকে মাইক কেড়ে নেওয়া ও সবকিছু তছনছ না করা পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল৷

স্মৃতিচারণে নামোল্লেখের প্রয়োজন। কিন্তু অনেক আলোচনায় সে সব নাম এতোবার উল্লেখিত হয়েছে যে, নতুন করে সেগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজন দেখছি না। তবে বিশিষ্ট দু একজনের কথা আমার এতো মনে দাগ কেটেছিল, প্রকারান্তরে সেগুলো উল্লেখের ইচ্ছে থাকলো৷ এটা ঠিক স্মৃতি -চারণও হলো না। ধারা বিবরণীও নয়।

আজ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে লেখা হলো না কেন, এ প্রশ্ন অন্যান্যের মতো আমাকেও পীড়িত করেছে। ১৯৫৮ সালে ও পরবর্তী পর্যায়ে অনেক অনেক মূল্যবান দলিল ও প্রামাণ্য পত্র পত্রিকা প্রভৃতি হারিয়েছেন৷ কিন্তু এখনও আন্তরিক উদ্যোগ নিলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে স্থায়ীভাবে গ্রন্থিত করা সম্ভব। হাজার হাজার বছর আগের লুপ্ত ইতিহাস যদি গবেষণার কল্যাণে আবিষ্কৃত হতে পারে, তাহলে ২৬ বছর আগের কাহিনী পুঞ্জমালা সংকলন কি এতোই দুঃসাধ্য। যারা সে সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু বিভ্রান্ত ইতিহাস রচনার বিকৃত প্রয়াস তাদেরকে অন্তরালবর্তী করে রেখেছে। কে রাখে একরামুল আমিনের খবর যে ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী হতাশায় দেড় বছর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন? এরকম আরো অনেকে আছেন। ব্যক্তিগত কারণে গত দেড় বৎসর আমার স্মৃতি ভ্রংশ ঘটলেও অনেকেরই সেটা ঘটেনি৷ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যদি সযত্নে ভাষা আন্দোলন এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে এ দেশের ছাত্র আন্দোলন এবং সর্বোপরি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত শ্রান্তিহীন ও সঠিক ইতিহাস রচনা করা হয় এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন সূত্র থেকে গবেষণার মাল মশলা সন্নিবেশিত হয় সেটাই হবে দেশ ও জাতির এক মহামূল্যবান সম্পদ ও ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারীদের পথ নির্দেশ। ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রম বিকাশের প্রথম স্তর ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণেও এই আন্দোলনের সম্পর্কে নঠিক জ্ঞানের প্রয়োজন।

***

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!